May 3, 2024, 1:23 pm

ডিআইইউ’র সাংবাদিক সংগঠন নিষিদ্ধ অশুভ ইঙ্গীত : মোস্তফা

ভিত্তিহীন অভিযোগে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)-তে সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও সাংবাদিক সংগঠনের সাথে জড়িত ১০ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ এবং গভীর উদ্বেগ ও উতকন্ঠা প্রকাশ করে ভয়েস অব কনসাস সিটিজেন (ভিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা কোন শুভ শুভ লক্ষণ নয়। ডিআইইউ’র সাংবাদিক সংগঠন নিষিদ্ধ অশুভ ইঙ্গীত বহন করছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার যে উদ্যোগ গ্রহন করেছে তা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত বাক স্বাধীনতার পরিপন্থি। সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করতে সাংবাদিক সংগঠন নিষিদ্ধ ও সংগঠনের সাথে জড়িত ১০ ছাত্রকে বহিষ্কারের ঘটনাই দিবালোকের মত প্রমানিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দুর্নীতি ও অপকর্মকে আড়াল করতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আরো বলেন, দেশের অধিকাংশ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধানে প্রদত্ত শিক্ষার অধিকারকে বাণিজ্যে পরিনত করেছে। আর সে কারণেই প্রতিষ্ঠাগুলো দুর্নীতির আখরায় পরিনত হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতেই নেতৃত্ব দেওয়ার গুনাবলি অর্জন ও মুক্তবুদ্ধি চর্চা বাঁধাগ্রস্থ করছে এবং গণমাধ্যম কর্মীদের কন্ঠ রোধ করার প্রচেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, যেখানে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা প্রদান করে সেখানে ডিআইইউ কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকেদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের হেনস্তা ও সাংবাদিক সংগঠনের সাথে জড়িত ১০ ছাত্রকে বহিষ্কার করে কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা করেছে যা উদ্বেগজনক। এই ঘটনায় সাংবাদিক সমাজের পাশাপশি দেশের সচেতন নাগরিকরাও উৎকন্ঠিত।

তিনি আরো বলেন, ডিআইইউ এমন সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে- বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো পরিপূর্ণ উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারেনি। ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদের ব্যবসায়ী মনোভাবই এর মূল কারণ। আর এ কারণেই তারা ভুলে গেছে সাংবাদিক সংগঠনের ওপর এমন নগ্ন সিদ্ধান্ত স্বাধীন গণমাধ্যম ও মুক্ত সাংবাদিকতা চর্চার পরিপন্থি। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান পরিপনিস্থ। সমগ্র জাতির কাছে আজ প্রশ্ন একটি বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান পরিপন্থি সিদ্ধান্ত গ্রহন করার দুঃসাহষ দেখায় কি করে?

তিনি অবিলম্বে ডিআইইউ সাংবাদিক সমিতির উপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা, ১০ ছাত্রর বহিষ্কারাদেশ প্রতাহারের জোর দাবী জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়মন চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানে সরকারের দায়িত্বশীলদের অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। ছাত্রদের সাংবাদিক সমিতি করার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে একই সাথে এই অশুভ ঘটনার সাথে জড়িত অতিউৎসাহীদের তদন্তের আওতায় এনে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করে জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :